ধর্মীয় গোড়ামি, কুসংস্কার ও অশিক্ষার কারণে লালমনিরহাটের সীমান্তবর্তী এলাকায় জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না। পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের কোন পদ্ধতিই গ্রহণ না করায় একই পরিবারে জন্ম নিচ্ছে ৫ থেকে ৬টি করে সন্তান।
অনুসন্ধানে জানা যায়, জন্ম নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি শরিয়ত সম্মত নয়, এমন ধারণাতেই কোন পদ্ধতি গ্রহণ না করায় ১জন স্ত্রীর মাধ্যমেই ৫ থেকে ৬টি সন্তানের বাবা হয়েছেন অনেকেই। ধর্মীয় গোড়ামি, কুসংস্কার ও অশিক্ষার কারণে লালমনিরহাট জেলার ৫টি (লালমনিরহাট সদর, আদিতমারী, কালীগঞ্জ হাতীবান্ধা, পাটগ্রাম) উপজেলার সীমান্তবর্তী ইউনিয়নের প্রত্যন্ত এলাকার ঘরে ঘরে এখনও সন্তান সংখ্যা ৪ থেকে ৬জন। পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের কথায় সায় নেই তাদের।
আরও অনুসন্ধানে জানা যায়, আল্লাহ যদি সন্তান দেন তো করার কি আছে। যিনি সন্তান দিবেন তিনিই এর আহারের ব্যবস্থা করবেন বলে মন্তব্য করেন অনেকেই। সেই সঙ্গে সন্তান/ গর্ভের সন্তান নষ্ট করা শরিয়ত সম্মত নয়। পরিবার পরিকল্পনা পদ্ধতি অনেকেই সমর্থন করেন না। আর সীমান্তবর্তী ইউনিয়নের বেশির ভাগ লোক অশিক্ষিত। এ কারণে সীমান্তবর্তী ইউনিয়নগুলোতে জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার বেশি। তবে আগের তুলনায় এখন অনেক পরিবর্তন এসেছে। আগে পরিবার পরিকল্পনা পদ্ধতি গ্রহণ করতে অনেকের দ্বিমত থাকলেও এখন তেমনটা নেই। পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের জেলা ও উপজেলা এবং ইউনিয়ন পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার নিয়ন্ত্রণে মাঠ পর্যায়ে সঠিকভাবে কাজ না করায় জন্ম নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতির সমাধান হচ্ছে না।